submit US Tax Info on Adsense by smartphone বাধ্যতামুলক ইউএস ট্যাক্স তথ্য কিভাবে জমা দিবেন এবং তা খুব সহজেই ফোন দিয়ে এপ্রুভ করা যায় সে-সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবো।
বিশ্বের যেকোন দেশের লোককে এটা দাখিল করতে হবে।যাদের একটি এডসেন্স একাউন্ট আছে যা দ্বারা সে ইউটিউব, ওয়েবসাইট ও এ্যাপে আয় করেন থাকেন।
আজকের টিউটোরিয়াল আমরা নিচের টপিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে submit US Tax Info জমা দেবো।
US Tax কি?
কারা US Tax Info জমা দিবেন?
কবে এই ট্যাক্স ইনফো জমা দিতে হবে?
দেশিয় ট্যাক্স যাদের দিতে হবে।
e-TIN নম্বার কি?
ই-টিন নম্বার কোথায় পাওয়া যায়?
কিভাবে US Tax Info sumit করবো।
Select W-8BEN Tax FORM.
1st Tax Info.
2nd Tax Identify
3rd Tax Treaty
4th Documents previous
5th Your Signature
6th Certificate
উপসংহার।
আমরা এখন উপরোক্ত টপিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি।
US Tax কিঃ-
আমেরিকা সরকার কতুক সাধারন মানুষের আয়ের উপর ভিক্তি করে অর্পিত কর জমা দেওয়াকে US Tax বলা হয়। অনলাইনে ইনকাম যারা করেন, তাদেরকে এই আয়করের আওতায় আনা হয়েছে।
কারা US Tax Info জমা দিবেনঃ-
আমেরিকার বাসিন্দা সহ বিশ্বের যেকোন দেশের লোকজন যারা অনলাইনে রোজগার করেন এ্যাডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে, তাদেরকে US Tax Info জমা দিতে হবে।
কবে এই ট্যাক্স ইনফো জমা দিতে হবেঃ-
যাদের এডসেন্স একাউন্টে একটি নোটিশ এসেছে সেইটাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে। নোটিশটি আসার পর যেকোনদিন submit US Tax Info জমা দিতে পারবেন।
তবে ৩১ মে, ২০২১ ইং তারিখ হলো জমাদানের শেষ সময়। এই ট্যাক্স কার্যকর হবে জুন,২০২১ সাল থেকে।
দেশিয় ট্যাক্স যাদের দিতে হবেঃ-
বাংলাদেশ থেকে আয়কর জমা দিতে হবে যাদের-
নতুন সংশোধন অনুযায়ী
১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বয়সের যেকোন বাংলাদেশি নাগরিক নারী-পুরুষ, তাদেরকে ট্যাক্স জমা দিতে হবে।
তবে যাদের বাৎসরিক ইনকাম ৩০০০০০ টাকার উপরে পুরুষের ক্ষেত্রে।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫০০০০ টাকার উপরে বছরে আয় করে থাকলে তাদেরকে বছরে কমপক্ষে ৪০০০ টাকা আয়কর জমা দিতে হবে।
আর এর নিচে যাদের বাৎসরিক ইনকাম তাদেরকে টাকা জমা দিতে হবে না। শুধু রিটার্ণ জমা দিলেই হবে।রিটার্ণ বলতে এখানে আয়কর জমার ডকুমেন্টস বা কাগজপত্রাদি।
যেমন রিটার্ণ ফরম,এনআইডি কার্ডের ফটোকপি,ছবি এক কপি ইনকামের বাৎসরিক লিস্ট ও ই-টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
e-TIN নম্বার কিঃ-
e-TIN এর পূর্ণ নাম হলো Electronic Tax Identification Number.যার বাংলা অর্থ হলো আয়কর নম্বর।
ই-টিন নম্বার কোথায় পাওয়া যায়ঃ-
ই-টিআইএন নাম্বার গ্রহণ করে নিবন্ধিত হতে হবে। করদাতা হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজতর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-টিআইএন করদাতা হিসাবে e-TIN রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে।
এ পদ্ধতিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পেরোনেরার মাধ্যমে আপনি পেতে পারিন ১২ ডিজিটের একটি নতুন টিআইএন। বর্তমানে যাদের টিআইএন আছে, তাঁদেরকেও নতুন পদ্টধতির টিআইএন এর জন্য রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এক্ষেত্রে জাতীয় চরিচয়পত্র, মোবাইল ফোন নম্বর ও কোম্পানীর ক্ষেত্রে RJSC এর নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হয়
কিভাবে US Tax Info sumit করবোঃ-
আপনার যদি একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকে, তা থেকে ইনকাম করে থাকেন। তাহলে আপনার এডসেন্সের ইমেইলে একটি নোটিশ আসবে।
তাছাড়া এডসেন্স ড্যাসবোর্ড লগিন করলে এই নোটিশটি দেখতে পাবেন নিচের ছবির মতো।

উপরোক্ত ছবির নোটিশটির নিচে বামপাশে Manage Tax Info বাটন রয়েছে বা ছবির সবুুজ তীরচিহ্নের মাথায় ক্লিক করবো।
এর মধ্যে আমরা আমাদের মোবাইল ভার্সনটি ডেক্সটপ ভার্সনে পরিণত করবো। তা করতে গেলে উপরে ডানপাশে থ্রী ডট মেনুতে ক্লিক করে কয়েকটি অপশন আসবে সেখানে Desktop version এ টিক দেবো।
ম্যানেজ ট্যাক্স ইন্ফতে ক্লিক করার পর আরো একটটি নোটিশের মতো ফিল্ড আসবে, সেইটার নিচে ডানদিকে Ad Tax Info বাটনে চাপ দেবো।
তখন আবার নতুন করে লগিন চাইবে। এডসেন্সের ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করবো।
তাহলে একটি ইন্টারফেস আসবে এখানে আপনার একাউন্টটি কোন ধরনের তা মার্ক করতে হবে।ব্যবসায়ী একাউন্ট হলে নিচের টি, তা না হলে Individual বাটনটি মার্ক করে নেক্সট বাটনে চাপ দেবো।
Select W-8BEN Tax FORMঃ-
এরপর একটি ইন্টারফেস আসবে ওখানে বলবে যে আপনি কি আমেরিকার বাসিন্দা।
তাহলে No বাটনে মার্ক করে next বাটনে ক্লিক করবো।
তারপর ট্যাক্স ফরমটি পাওয়ার জন্য দুটি অপশন আসবে এখানে উপরের অপশনটিতে W-8BEN এ প্রেস করবো। তারপর নিচের একটি বাটন আছে START W-8BEN FORM বাটনটিতে ক্লিক করবো।
এরপর ছয়টি অপশনের একটি ফরম চলে আসবে সেগুলো এক এক করে নির্ভুলভাবে পুরণ করতে হবে।
1st Tax Info:-
প্রথমে আপনার নাম দেওয়াই থাকবে। তারপর দেশের নাম এবং দেশের ইটিন নম্বার এখানে দিতে হবে। তারপর Next বাটনে ক্লিক করলে দ্বিতীয় অপশন নিজের ঠিকানা দিতে হবে।
2nd Tax Identify :-
এখানে নিজের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে।
উপরের ঘরে স্থায়ী ঠিকানা লিখবো।ভোটার আইডি বা এনআইডি কার্ডে যে ঠিকানা আছে, তা দেবো।
পোস্ট কোডসহ লিখতে হবে। ঠিকানা লেখার জন্য দুটি ঘরে আছে, একটি ঘর না হলে অপর ঘরটি ব্যবহার করতে পারবেন।
দুটি ঠিকানা যদি একই হয়, তাহলে নিচের ঘরটিতে টিক দিবেন।আর যদি বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয়,উপর ঘরটিতে টিক না দিয়ে নিচের ঘরগুলো ঐভাবে পুরণ করবে next button এ চাপ দিবো।
3rd Tax Treaty:-
এই অপশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোযোগ সহকারে পুরণ করতে হবে।
এই অপশনের প্রথমটিতে রয়েছে আপনি কি এর পুর্বে ইউএস ট্যাক্স দিয়েছিলেন। আমরা দিবো No সিলেক্ট।
এরপর নিচে এসে Service (Such as Adsense) টিক দিয়ে নিচের ট্যাক্স শর্তগুলো সিলেক্ট করবো।
প্রথম ঘরে Articles 7 paragraph 1 এবং rate 0% reduce সেলেক্ট করবো।
দ্বিতীয়তে -Articles 12 paragraph 2 এবং rate 10%
তৃতীয়তে-ঐ দ্বিতীয়টির মতো।
উপরের শর্তগগুলো অবশ্যই সবগুলোতে বামপাশের ঘরে টিক দিবো। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করবো।
4th Documents previous:-
এযাবৎ যত তথ্য দেয়া হলো তা ঠিক না বেঠিক তার জন্যই এই অপশনটি।
এখানে নিচের দিকে কন্ডিশনের বামপাশে একটি ঘর রয়েছে, সেখানে টিক দিয়ে next button এ প্রেস করবো।
5th Your Signature:-
এখানে সিগ্নেচার বলতে নিজের পুরা নামটি লিখতে হবে।
নামটি লেখার পর দুটি অপশনের শর্ত দেয়া আছে যে সিগনেচারটি আপনার না অন্য কারো। অবশ্যই আপনার।
উপরের Yes ঘরে চিহ্নিত করে Nextbutton এ চাপবো।
6th Certificate:-
এই ঘরটিতে একটি ঘর আছে এর আগে ট্যাক্স দিযে থাকলে। কেউ তো আগে ট্যাক্স দেইনি।
তাই উপরের ঘরে মার্ক করে এবং নিচের কন্ডিশনটিতে টিক দিয়ে নিচের Submit বাটনে ক্লিক করলেই submit US Tax Info সমাপ্ত হয়ে গেল।

এই সম্পর্কে আরো জানতে এখানে চাপুন।
এই সাইটে আরো কিছু টিউটোরিয়ালঃ-
ফেসবুকগ্রুপ সেটিংস কিভাবে করলে ফ্রী প্রমোট হবে।
ফেসবুক প্রোফাইলকে পেজে রুপান্তর করবেন কিভাবে? সব ঠিক রেখে।
এর ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
উপসংহারঃ-
ফরমটি পুরণ করার পর submit US Tax Info করার দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে একটি Approved ইমেইল আসবে। তাহলে আর কোন চিন্তা থাকলো না। সব কাজ শেষ।
মেইলটি উপরের ফটোতে দেখানো হয়েছে। এপ্রুভ ইমেইলটি আসলেই আপনার আর কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা নেই। কোন টেনশন নেই।